Advertisement

header ads

রুটিন ফর সাকসেসফুল লাইফ!!!

লাইফে সফলতার জন্য সকলেরই একটা রুটিনের প্রয়োজন; রুটিন হলো নিয়মতান্ত্রিক লাইফের একটি নকশা যা একটা মানুষকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে সক্ষম।
পারফেক্ট রুটিন কখনোই ইউনিভার্সাল হয়না বরং ইউনিক হয়। যেমন আপনি যেখানে সকাল-সন্ধ্যা ক্লাস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সেখানে একজন চাকুরীজীবী মানুষ হয়তো নয়টা-পাঁচটা অফিস করে ক্লান্ত হয়;একটা আনম্যারিড গার্ল যেখানে ড্রেসিং টেবিলে বসে মেকআপ করে সময় পার করে তখন দেয়ালের বিপরীতে থাকা "আম্মু" নামক জীবটা হয়তো তরকারিতে লবণ টেস্ট করতে ব্যস্ত থাকেন....প্রত্যেকের লাইফ যেমন ইউনিক তেমনি লাইফ রুটিনও ইউনিক হওয়া চায়!!
আজ আমি আপনাকে সফলতার দোহায় দিয়ে বিরক্তিকর বদ্ধ রুটিনে আপনার লাইফটা বাধতে আসিনি; আমি আপনাকে স্বাধীন সফলতার মুক্ত আলোর সন্ধান দিতেই এসেছি....
সকাল:
(১) খুব ভোরবেলা উঠুন এবং আপনার নিজ নিজ ধর্ম মতে প্রার্থনা করুন, তাতে আপনার মনটা শান্ত থাকবে।
(২) যেহেতু আপনার মনটা শান্ত থাকবে তাই এই সময়টাকে ক্রিয়েটিভ কিছু করার কাজে লাগান।
সাধারণ ভোরবেলা প্রার্থনা শেষে স্কুল/কলেজ/অফিসে যাওয়ার মধ্যবর্তী বেশ কিছু সময় হাতে থাকে; এই সময়টাই আপনার ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার জন্য সুপার-বেস্ট টাইম!
ক্রিয়েটিভ কি করবেন সেটা আপনার ওপর ডিপেন্ড করছে; আপনি চাইলে কোডিং শিখতে পারেন অথবা চাইলে রেজিস্টার-ট্রানজিস্টারে ইলেকট্রনিকস মাতাতে পারেন।
(৩) নাস্তা শেষে নির্ধারিত সময় মতো আপনার স্কুল/কলেজ/অফিসে যান।
তবে হ্যা, একদমই লেট লতিফ হওয়া চলবে না; সম্ভব হলে একটু আগে ভাগেই গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করুন তাতে আপনারাই রেপুটেশন বাড়বে।
আর "রেপুটেশন হলো লাইফের সফলতার রেজ্যুলেশন"!
দুপুর:
(১) সম্ভাবত এই সময়টাতে আপনি ক্লাস/অফিস শেষে লাঞ্চ করছেন।
[বলা বাহুল্য মুসলিম হলে সালাত আদায় করে নিতে ভুলবেন না]।
যদিওবা আপনি মুখে লাঞ্চ করছেন তবুও আপনার ব্রেইনে কিন্তু গত সময়ের কর্মব্যস্ততা আর লাঞ্চ পিরিয়ড শেষে কর্মব্যস্ততা নিয়ে নিরন্তর ভাবনা চলছে।
এই সময়ে ব্রেইনটাকে একদম শান্ত করে দিন...এই সময়টাতে আপনার ব্রেইনকে পুরোপুরি রিলাক্স হতে দিন।
(২) যদি লাঞ্চ শেষে কিছু অবসর পান তবে ২/৫ মিনিট প্রিয়জনের সাথে কথা বলতে পারেন, তাতে ব্রেইনটা একটু এন্টারটেইন হবে।
(৩) আপনি আপনার কাজে চলে যান; মনে রাখবেন এই সময়টাতে আপনার শরীর কিন্তু অবসাদ আর অলসতায় একটু বিশ্রাম চাইবে, বিপরীতে আপনি যদি ব্রেইন দিয়ে জোর করে শরীরে চাপ প্রয়োগ করেন তবে সেটার নেগেটিভ ইফেক্টে আপনি কিছুতেই মনোসংযোগ ফেরাতে পারবেন না।
সুতরাং এই সময়ের আসল চ্যালেঞ্জ হলো "মেজাজ ঠান্ডা রেখে আপনার শরীরের সাথে মনকে সঙ্গ দেওয়া"।
বিকাল ও সন্ধ্যা :
(১) যদিওবা "বিকাল মানেই একটু বিনোদন" তবুও একমাত্র অবুঝ বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই এই বিকাল সময়টাতে নিজেকে সময় দেওয়ার মতোন অবসর পান না; স্টুডেন্ট হলে হয়তো কোচিং ক্লাস নয়তো এমপ্লয়ী হলে অফিসের সাদা দেয়ালের মাঝেই নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হয়।
তবুও বিকাল বেলা যদি একান্তই অবসর পান তবে সেই সময়টাতে আপনার ভেতরের "আপনি" টাকে একটু সময় দিন।
আপনার মন যদি সাদা শার্ট গায়েও ঝালমুড়ি খেতে চায় তবে মনের কথাটাকেই গুরুত্ব দিন; মনে রাখবেন সফলতার জন্য সারাদিন বিজি থাকতে হয়না।
(২) সন্ধ্যা বেলার সময়টা আমরা অনেকেই হয়তো মিস করি, কেউ ইচ্ছাকৃত কেউবা অনিচ্ছাকৃত।
আপনি হয়তো জানেন না যে সন্ধ্যা জিনিসটা হলো প্রকৃতির এক অপরূপ মায়া, এই সময়টাতে আপনার আবেগী মন দারুণ কিছু গল্প বা কবিতা লিখে ফেলতে সক্ষম....একবার ট্রাই তো করে দেখুন।
[ সম্ভব হলে অবশ্যই আছরের সালাত আদায় ও মাগরিবের সালাত আদায় করুন]।
রাত:
(১) খুব সম্ভাবত এখন আপনি সকল কর্মব্যস্ততা শেষে ফ্রি আছেন (পড়াশোনা এবং পরবর্তীদিনের অফিস হোমওয়ার্ক শেষে)। এই সময়টাই আপনার লাইফে সফলতার জন্য ভাইটাল টাইম।
[সারাদিনে কোন সালাত কাযা হলে আগে তা আদায় করে নিন এবং এশার সালাত আদায় করুন]।
(২) আগে আগেই খাবার খেয়ে নিবেন না তাহলে কিন্তু ক্লান্ত শরীর আপনাকে ঘুমের জন্য তাগাদা দিবে; খাওয়ার আগে আপনি আপনার আজকের সারদিনের এনালাইসিস মনে মনে করে ফেলুন এবং আগামীকালের দিনটা কিভাবে সাজাবেন তার ছক কষে রাখুন।
(৩) অনলাইনে এমন কিছু একটা করুন যাতে আপনার লাইফের ড্রিমটা পূর্ণ হয় এবং লাইফে কার্যত একটা ডেভোলপমেন্ট আসে।
আপনি চাইলে অনলাইনে টিচিং করানোর জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলে যেমন নিজের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারেন তেমনি কিছু আর্নও করতে পারেন। অন্যদিকে ব্লগিং জিনিসটা শুধু আপনার শখ পূরণ নয় বরং আপনার পকেটের খালি জায়গাটুকুও পূরণ করতে সক্ষম।
মোদ্দাকথা এই সময়টাকে এমনভাবে কাজে লাগান যেন লাইফটা আরও একটু আনন্দময় এবং লাইটলি সাকসেসফুল হয়।
(৪) আপনার রাতের খাবার গ্রহণ করুন এবং প্রিয়জনের সাথে কথোপকথন থাকলে সেটা সম্পন্ন করে শুয়ে পড়ুন।
[মনে রাখুন লাইফে সফল হতে হলে কানে হপডফোন দিয়ে সারারাত চোখের পানিতে দুঃখবিলাস করলে চলবে না]।
পয়েন্টআউট:
(১) আমি কিন্তু কোন রুটিন লিখিনি বরং আপনি সফলতার একটি Root বা মূল দেখিয়েছি মাত্র যা আপনি আপনার লাইফ স্টাইলের সাথে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
(২) আমি বারংবার সালাতের কথা বলেছি কেননা একজন মুসলিমের ইহকালীন ও পরকালীন লাইফে সফলতার সূত্রই হলো সালাত।
অবশ্য আপনি আপনার ধর্মমতে উপাসনা করতে পারেন যাতে আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন যা আপনার সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
(৩) আমি মেয়েদের জন্য স্পেশাল করে কিছু বলিনি; আসলে লাইফে সফলতার ক্ষেত্রে কোন Gender discrimination চলে না, আপনার মনটাকে বিমুক্ত করে দিন যেন তা সাজুগুজুর পাশাপাশি নিজেকে শাইন করতেও কাজে লাগে....তাহলে সফলতা এমনিতেই কখন যে চলে আসবে তা নিজেও টের পাবেন না।
#Jubaeir_Konok

ফেসবুকে আমি  জোবাইর কনক 

Post a Comment

0 Comments